বই পড়ার ইলেক্ট্রনিক সম্ভাবনার কথা বলছিলাম তার কারন এখন সবাই আমরা হাতে হাতে স্মার্ট ফোন দেখছি। এর বেশিরভাগ ব্যবহৃত হচ্ছে ছবি তোলা, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটিভ থাকা সহ নানান কাজে। অনেকেই ব্লগিং করছেন কিংবা লিখছেন নানান কথাবার্তাও। এর সব কিছুই নির্দেশ করে আগামীর বই পড়া কেমন হতে পারে। নিশ্চিত না হয়ে আমরা দেখছি সম্ভাবনার কথা।
এখন অনেক ইবুক বিক্রির পোর্টাল আমাদের বাংলাদেশেও আছে। আবার কাগজের বইও আছে। কাগজের বই এবং ইবই এর দুটি একই রকম নয়। যদি যন্ত্রটি হয় স্মার্ট ফোন তখন দেখা যাচ্ছে স্ক্রীনে তাকিয়ে থেকে বই পড়া কিছুটা বিরক্তির উদ্রেক করে। তার কারন- ১) ফোনে যখন তখন কল আসতে পারে ২) সোশ্যাল মিডিয়া এ্যাপস এর ফীডস নোটিফিকেশন আসা ৩) খুবই ছোট স্ক্রীন হওয়া ৪) ব্যাটারীর আয়ুষ্কাল কম হওয়া ইত্যাদি।
এসব ক্ষেত্রে কিছু যন্ত্রাংশ নির্মাতারা নানান ধরনের ইরিডার বাজারে এনেছেন। সেগুলো হয়ত অনেকাংশে কিছু সমস্যার সহায়ক হবে।
অডিও বুক যারা শোনেন তাদের ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন হয়ত সহায়ক। তবে কিছু অডিও যন্ত্রাংশ আছে যা শুধু অডিও ফাইল চালনায় সহায়ক। এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহারে কিছুটা আগ্রহ বাড়ে। পড়ার জন্য একটা আলাদা পরিবেশ তৈরী হয়।
শুধু মাত্র স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে যারা ইলেক্ট্রনিক বই পড়ার চেষ্টা করেছেন তাদের ক্ষেত্রে বই পড়ার অভিজ্ঞতা খুব বেশি সুবিধাজনক নয়। কারন এক স্মার্টফোনে অনেক কিছু চালনা করতে হয়। নানান এ্যাপস, মোবাইল ব্যাংকিং, হিসাব নিকাশ অনেক কিছু। পড়ার মত সময় কিংবা সুযোগ হারিয়ে যায়।
অনেক পাঠকই হয়ত একমত হবেন যে, বই পড়ার জন্য আলাদা একটা পরিবেশের দরকার হয়। যা একটা কাগজের মলাটের মধ্যে খুব সহজে ম্যানেজ করা সম্ভব হয়। যন্ত্র হাতে এলে বই এর জন্য প্রেম কমে যায় অনেকেরই। বই পড়ার জন্য প্রস্তুত হতে হতে সামনে এমন কিছু চলে আসে যখন মন চলে যায় সেদিকে। ধরুন একজন লোক একটা বই পড়তে শুরু করেছেন, তার মাঝপথে কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পর একটা নিউজ ফিড দেখলেন, সেখানে প্রবেশের পর আবার সেই বইয়ের মধ্যে যাওয়া হয়ে ওঠে কম।
যন্ত্র যেহেতু দখল করছে আমাদের জীবনের নানান অংশ, সেহেতু উপায় নেই ইলেক্ট্রনিক বইকে উপেক্ষা করার। এটা হয়ত অভ্যাস এবং মানিয়ে নেয়ার উপর নির্ভর করছে আমাদের ভবিষ্যৎ বই পড়ার ইলেক্ট্রনিক সম্ভাবনা।