উপন্যাস লেখা

একটি উপন্যাস লেখার জন্য বেসিক কিছু ধাপ মেনে চলা উচিৎ। উপন্যাস লেখায় স্বাধীনতা আছে। নীয়মের প্যাঁচে না পড়ার দিক চিন্তা করেই উপন্যাসের পটভূমি দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তারপরেও কোথা থেকে কিভাবে সুন্দর উপস্থাপনায় পাঠকের কাছাকাছি যাওয়া যায় তারই নানা পরামর্শ। বিখ্যাত ব্যক্তিদের সাথে আলাপকালে তারা এসব উপদেশ দিয়েছেন। অনেকেই অনেক ধরনের বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তবু প্রথম উপন্যাস লিখতে গিয়ে আপনি অন্তত সাতটি বিষয়ের দিকে নজর দিন।

গল্প স্থির করুন, উপন্যাসের গল্প লিখে বা খসড়া তৈরী করুন

একটা গল্প দাঁড় করান। গল্প না বলে উপন্যাস শুরু শেষ কিছুই করা যায় না। অল্প কথায় হলেও একটা গল্প দাঁড় করানো দরকার। কি হবে, কিভাবে হবে, কেন হবে, কাকে দিয়ে হবে, কোথায় হবে, কিংবা কখন হবে এসব সেই গল্পে নিয়ে রাখুন। গল্প যদি স্থির না করতে পারেন তবে উপন্যাসের শেষ করাটা কষ্টকর হয়ে যাবে। সম্ভাবনাও আছে সেই উপন্যাস পাঠক নাও পড়তে পারে। গল্প স্থির করুন, উপন্যাসের গল্প লিখে বা খসড়া তৈরী করুন, সংক্ষেপে যতটা পারা যায় এক পৃষ্ঠায় করুন।

স্টিফেন কিং গল্পকে শুরুতেই জায়গা দিয়েছেন।

আপনি কি মাংস-খাওয়া ব্যাকটেরিয়া, নিউইয়ার সিভার সিস্টেম, অথবা কলি বাচ্চাদের আইকিউ সম্ভাব্যতা সম্পর্কে শিখছেন, কিন্তু আপনার পাঠকরা সম্ভবত আপনার অক্ষর এবং আপনার গল্প সম্পর্কে আরও বেশি যত্ন নেবেন।

চরিত্রের ছোটখাট প্রসঙ্গও যেন বাদ না পড়ে

উপন্যাস লিখার সময় চরিত্র হচ্ছে সবচে বেশি আলোচিত কিংবা বর্ননায় বিস্তৃত। আপনি যত বেশি বর্ননা করবেন ততবেশি চরিত্র প্রানবন্ত হবে। চরিত্রের মধ্যে খুঁটিনাটি কিংবা অভ্যাসের দ্বারা আয়োজিত বিষয় যেন বাদ না পরে তা মনে রাখতে হয়। তাছাড়াও মানুষ কিভাবে চলাফেরা তা চরিত্রের সাথে কেমন সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০০ শব্দ করে লিখুন, উপন্যাস লেখা একদিন শেষ হবে

উপন্যাস লিখতে গেলে সবচে বড় বাধা হচ্ছে- লিখে শেষ করতে পারা। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে অভিজ্ঞ সবাই পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০০ শব্দ লিখতে। এভাবে লিখলে ৩০ দিনে ৩০০০০ শব্দ হয়ে যায়। একটি উপন্যাস ৪০ থেকে পঞ্চাশ হাজার শব্দের মধ্যেই ভাল বর্ননা করা যায়। নিয়মিত লিখার আরেকটা সুবিধা হচ্ছে, লেখার মান দিন দিন বৃদ্ধি পায়।

লেখার পাশাপাশি নিয়মিত পড়া, উপন্যাস লিখতে গেলে পড়াটা আবশ্যক

যে কোন লেখকই যখন পড়তে থাকেন তার ভেতরে অনেক প্রশ্ন কিংবা আইডিয়া জাগে। এসব নতুন লিখতে থাকা বইয়ে প্রয়োগ করতে পারলে লেখার উপকরন বাড়ে। তাছাড়া লেখক হিসেবে নিজের মধ্যে কোন এক গুয়েমি কাজ করতে পারে না। বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়া যেতে পারে।

সম্পাদনা করুন, নিজের উপন্যাস নিজেই সম্পাদনা করুন

প্রুফ রিডিং থেকে শুরু করে নিজেই নিজের বইয়ের সম্পাদনা নিজেই করুন। সম্পাদনার জন্য সঠিক বানান, বাক্যের গঠন, দৃশ্য থেকে দৃশ্যপট সব কিছু বারবার পড়ে দেখতে হবে। তবেই বই ভাল হতে পারে। লেখার জন্য সময় বরাদ্ধ করার পাশাপাশি সম্পাদনার জন্যও সময় বরাদ্ধ রাখতে হয়। অন্তত নির্দিষ্ট সময় নিয়ে সম্পাদনা করলে নির্ভুল একটি বই পাওয়া যাবে যাতে পাঠকের মনে থাকবে অনেক দিন।

প্রচ্ছদ পরিকল্পনা বা চিত্রায়ন, উপন্যাসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন  দিক

যে কোন উপন্যাস প্রচ্ছদ চিত্র অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে। পাঠকের নজর কাড়ার জন্য প্রচ্ছদের চিত্রায়ন হতে হয় প্রাসংগিক। তাছাড়া সুন্দর প্রচ্ছদের কদর বেশি। নিজে যদি প্রচ্ছদ ডিজাইন করতে পারেন তো ভালো। তবে অন্য কোন চিত্রশিল্পী বা দক্ষ কাউকে দিয়ে করিয়ে নিলে অনেক ভাল।

নামকরন, উপন্যাসের নামকরন

উপন্যাসের নামকরন করার জন্য নির্দিষ্ট নীয়ম অনুসরন করতে হয়। নামের সাথে গল্প কিংবা চরিত্র অথবা কোন প্রেক্ষাপট নতুবা স্থান কালের মিল থাকা উচিৎ।

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *